infobatbd@gmail.com

জেনারেটর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা (Generator)

জেনারেটর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা (Generator)
23 May 2018

জেনারেটর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা (Generator)

/
Posted By
/
Comments3

আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি জয়নুল ইসলাম,জুনিয়র সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার,বাংলাদেশ অটোমেশন টেকনোলজিস।বাংলাদেশ অটোমেশন একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান-এখানে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং করানো হয়।শুধু তাই নয় আমাদের এই প্রতিষ্ঠান Industry বা Factory তে বিভিন্ন প্রকার অটোমেশন ডিভাইস sale এবং support দিয়ে থাকে।তার ই ধারাবাহিকতায় সর্বত্ত ইঞ্জিনিয়ারিং মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতি শুক্রবার ফ্রি সেমিনার এর আয়োজন করে থাকি।আপনাদের সকলকে এই সেমিনারে অংশ গ্রহন করার অনুরুধ রইলো।

আজ আমরা জেনারেটর সম্পর্কে জানবো, জেনারেটর একটি ইংরেজি শব্দ। যার অর্থ-কোন কিছু উৎপন্ন করা বা জেনারেট করা।

জেনারেটর কি ?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে,যে ডিভাইস এর সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তর করা যায়,তাকে জেনারেটর বলে।এটা এক প্রকার মেশিন।আমরা আলোচনা করবো ডিসি জেনারেটর নিয়ে-

ডিসি জেনারেটর এর প্রকারভেদঃ-

এক্সাইটেশন এর উপর ভিত্তি করে জেনারেটরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১। সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর।

২। সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর।

সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর আবার তিন প্রকার-

১। শান্ট জেনারেটর।

২। সিরিজ জেনারেটর।

৩। কম্পাউন্ড জেনারেটর।

কম্পাউন্ড জেনারেটরকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১। শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।

২। লং শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।

জেনারেটর এর বিভিন্ন অংশ

Untitled

ইয়ক বা ফ্রেমঃ

জেনারেটরের বাইরের আবরন বা স্তরকে ইয়ক বা ফ্রেম বলে।ছোট জেনারেটর এর ক্ষেত্রে এই ইয়কে কাস্ট আয়রন ব্যবহার করা হয় আর বড় জেনাটরের ক্ষেত্রে স্টিল ব্যবহার করা হয়।

ফিল্ড ওয়াইন্ডিং ও পোল কয়েলঃ

এটি তামার তার দ্বারা তৈরী যা প্রতিটি পোলে সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে।

আর্মেচার কোরঃ

জেনারেটরের ভিতরে যে অংশটুকু অবিরাম ঘুরে,তাকেই আর্মেচার বলে। এটা দেখতে অনেকটা সিলিন্ডার এর মত যাতে তামার কন্ডাক্টর প্যাঁচানো থাকে।

আর্মেচার ওয়াইন্ডিংঃ

এটা হলো আর্মেচার স্লটের বাঁকি অংশ যা কন্ডাক্টর দ্বারা প্যাঁচানো থাকে।

আর্মেচারঃ

এটি জেনারেটরের ঘুরন্ত অংশ যার সাথে শ্যাফট লাগানো থাকে

কম্যুটেটরঃ

এটা দেখতে গোলাকার বিয়ারিং এর মত যার মাধ্যমে এতে কারেন্ট এসে জমা হয়ে থাকে পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য।

ব্রাশঃ

এটা কার্বন গ্রাফাইটের তৈরি। এটা ব্রাশ কন্টাক্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয় যা আউটপুটে সাপ্লাই দিয়ে থাকে।

স্লিপ রিংঃ

এটা কম্যুটেটর এর সাথে যুক্ত থাকে।

এসি এবং ডিসি জেনারেটর এর মাঝে পার্থক্যঃ

আমরা জানি,যেকোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিং-এ প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ বা এসি উৎপন্ন হয়।ডিসি জেনারেটরের ক্ষেত্রে এই এসিকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডিসিতে রুপান্তরিত করা হয় এবং তা লোডে সরবরাহ করা হয়।এসি এবং ডিসি জেনারেটরের মূল পার্থক্য হলো একটি কম্যুটেটর।

জেনারেটর নিয়ে যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন এবং আরোও অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে যদি জানার ইচ্ছে থাকে তাহলে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন।আশা করি আমার এই আলোচনা সবার ভালো লেগেছে।

3 Responses

Leave a Reply