infobatbd@gmail.com

ভোল্টেজ নিয়ে বিস্তারির আলোচনা (Voltage)

ভোল্টেজ নিয়ে বিস্তারির আলোচনা (Voltage)
22 May 2018

ভোল্টেজ নিয়ে বিস্তারির আলোচনা (Voltage)

/
Posted By
/
Comments2

আসসালামু আলাইকুম,

আশা করি সবাই ভালো আছেন।বাংলাদেশ আটোমেশন টেকনোলজিস এর পক্ষ থেকে আমি আজ আপনাদের মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবো।তার আগে কিছু কথা বলে রাখি,বাংলাদেশ আটোমেশন টেকনোলজিস-আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং,Industry বা Factory এবং বিভিন্ন প্রকার অটোমেশন ডিভাইস খুব সীমিত মূল্যে সেল দিয়ে থাকি। তারই প্রেক্ষাপটে আমরা প্রতি শুক্রবার সবার সুবিধার্থে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফ্রি সেমিনার এর আয়োজন করে আসতেছি,আপনাদের সকলকেই এই সেমিনারে অংশ গ্রহন করার অনুরুধ রইলো। তাহলে চলুন আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই। আমাদের আলোচনার আজকের টপিক ভোল্টেজ-

ইলেক্ট্রিক্যাল বিষয়ে পড়তে হলো এবং এর সম্পর্কে জানতে গেলেই কারেন্ট,ভোল্টেজ,রেজিস্ট্যান্স এই বিষয় গুলো প্রথমেই চলে আসে।আজ আমরা এগুলোর মধ্যে ভোল্টেজ নিয়ে আলোচনা করবো।এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক।তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

ভোল্টেজ

ভোল্টেজ হলো এক প্রকার বৈদ্যুতিক চাপ।পরিবাহীর অভ্যন্তরে থাকা ইলেক্ট্রোন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয়,তাকেই ভোল্টেজ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, অসীম বা শূণ্য বিভবের স্থান থেকে একটি একক ধণাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তা হল ঐ স্থানের বিভব বা ভোল্টেজ।

ভোল্টেজকে প্রধানত V দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

এর একক হলো ভোল্ট(Volt)

যদি অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে Q ধনাত্মক চার্জ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে W পরিমাণ কাজ করতে হয়,তাহলে-

V=W/Q

অসীম বা শূণ্য বিভবের স্থান থেকে যদি 1C(কুলম্ব) ধণাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে 1J(জুল) কাজ করতে হয় তাহলে ঐ বিন্দুর বিভবকে 1V(ভোল্ট) বলে। সাধারণত তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন কাজে বিভব পার্থক্য ব্যবহার করা হয়। কারণ একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ করতে হলে অবশ্যই বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। কোন বস্তুর ধণাত্মক আধান বৃদ্ধি পাওয়া মানে বস্তুর বিভব বৃদ্ধি পাওয়া। আবার উল্লেখ্য যে, তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু পরিবাহীর ইলেক্ট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।

ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার কিঃ

যে রেকটিফায়ার সার্কিট ইনপুটে এ.সি. গ্রহণ করে আউটপুটে কয়েক গুণ বর্ধিত ডি.সি ভোল্টেজ প্রদান করে তাকে ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার বলে।

circ317
আউটপুটে কত গুণ বেশী ভোল্টেজ প্রদান করবে তা নির্ভর করে সার্কিটের ডিজাইনের উপর।

বিভিন্ন প্রকার ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ারঃ

১. হাফ ওয়েভ ভোল্টেজ ডবলার (Half Wave Voltage Doubler)
২. ফুল ওয়েভ ভোল্টেজ ডবলার (Full Wave Voltage Doubler)
৩. ভোল্টেজ ট্রিপলার (Voltage Tripler)
৪. ভোল্টেজ কোয়াড্রুপলার (Voltage Quadrupler)

হাফ ওয়েভ ভোল্টেজ ডাবলারঃ-

যে ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. ভোল্টেজের অর্ধ সাইকেলকে ব্যবহার করে আউটপুটে দ্বিগুণ পরিমাণ ডি.সি. ভোল্টেজ প্রদান করে তাকে হাফ ওয়েভ ভোল্টেজ ডবলার বলে।

basic-electronics-30-728

ফুল ওয়েভ ভোল্টেজ ডবলার

যে ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. ভোল্টেজের পূর্ণ সাইকেলকে ব্যবহার করে আউটপুটে দ্বিগুণ পরিমাণ ডি.সি. ভোল্টেজ প্রদান করে তাকে ফুল ওয়েভ ভোল্টেজ ডবলার বলে।

basic-electronics-31-728

ভোল্টেজ ট্রিপলারঃ-

যে ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. ভোল্টেজের পূর্ণ সাইকেলকে ব্যবহার করে আউটপুটে তিন গুণ পরিমাণ ডি.সি. ভোল্টেজ প্রদান করে তাকে ভোল্টেজ ট্রিপলার বলে।

vt-300x218

ভোল্টেজ কোয়াড্রুপলার-

যে ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. ভোল্টেজের পূর্ণ সাইকেলকে ব্যবহার করে আউটপুটে চার গুণ পরিমাণ ডি.সি. ভোল্টেজ প্রদান করে তাকে ভোল্টেজ কোয়াড্রুপলার বলে।

vq-300x149

ভোল্টেজ পরিমাপ করে কিভাবেঃ-

ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয় প্রধানত ভোল্ট মিটার দিয়ে।ভোল্টমিটার এর দুই প্রান্ত বৈদ্যুতক সোর্সের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত করে ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয়।নিচে একটা চিত্রের মাধ্যমে ভোল্টেজ পরিমাপ করা দেখানো হলো-

measure-battery-voltage

আজকে শুধু ভোল্টেজ নিয়েই লিখলাম,পরে আবার কোন এক সময় আপনাদের মাঝে অন্য কোন বিষয় নিয়ে লিখবো।এতে যদি কারো কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

2 Responses

Leave a Reply