infobatbd@gmail.com

Single Blog Title

This is a single blog caption
20 May 2018

সহজ বাংলায় PLC (পি এল সি)

/
Posted By
/
Comments0

ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স প্রেমি ভাইদের আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি আপনারা ভাল আছেন। আমি আমিনুল ইসলাম জুনিয়র সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ অটোমেশন টেকনোলজিস।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হল পিএলসি(plc)।বর্তমানে ইন্ড্রাস্ট্রির কথা বলতে গেলে প্রথমে আসবে অটোমেশনের কথা। অটোমেশন সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি। এর বাংলা অর্থ স্বয়ংক্রিয়তা বা নিজে নিজে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজে করবে।   তাই পিএলসি সম্পর্কে আমাদের জানা থাকা দরকার ।

আপনাদের যানিয়ে রাখছি আগামী ২৫ই মে ২০১৮ রোজ শুক্র বার সকাল ১০ ঘটিকায়  বাংলাদেশ অটোমেশন টেকনোলজিস এ Delta PLC এর উপর এক ফ্রি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। তাই আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।নিচের লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।(https://www.batplcbd.com/2018/05/19/free-seminar-on-delta-plc/)

সেমিনারের জন্য রেজিস্ট্রেশন লিংক 

(বিঃ দ্রঃ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সেমিনার শেষে সনদ প্রদান করা হবে।)

PLC কি ?

পি এল সি (PLC) পূর্ণ নাম প্রোগ্রামএবল লজিক কন্ট্রোলার (Programmable Logic Controller)। এটি এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে অতি সহজেই অন্যান্য যন্ত্র কন্ট্রোল করা যায়।এটি এক প্রকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পিউটার কন্ট্রোল সিস্টেম যা ইনপুটে কোন প্রকার সিগন্যাল পাওয়ার সাথে সাথে একটি ডিসিশন মেক করবে কাস্টম প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে এবং আউটপুট কন্ট্রোল করবে।পিএলসি সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর নিয়ে গঠিত যাকে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রোগ্রাম করতে হয়। প্রোগ্রামটি মূলত কম্পিউটারের সফটওয়্যারে লিখতে হয় এবং তা ক্যাবলের সাহায্যে পিএলসিতে লোড করা হয়।

PLC  কোথায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

আমরা জানি পিএলসি একটি ডিজিটাল কম্পিউটার যা বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কন্ট্রোল করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেকোন মেশিন অটোমেশন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, অটোমেটেড শিল্পকারখানা, হোম অটোমেশন,সিমেন্ট কারখানার, ফুড কারখানার,বায়োমেডিক্যাল,ইরোবটস উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি  ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

            MITSIBISHI_PLC_Panel

                                                                       ইন্ড্রাস্ট্রিতে পি এল সি ব্যবহার

Brand Name of PLC:

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির পিএলসি বাজারে রয়েছে। তবে এদের মধ্যে কিছু পরিচিত পিএলসির তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

1.ডেল্টা পিএলসি( Delta)

2.এলেন ব্র্যাডলি( Allen Bradley)

3.মিটসুবিশি(Mitsubishi)

3.ফুজি(fuzzi)

4.পেনাসনিক ( Panasonic)

5.ওমরন (Omron)

6.এল এস ( LS)

7.টশিবা(Toshiba)

8.সিমেন্স (Siemens)

9.ফাটেক ( Fatek )

10.স্ট্যাইডার(Schneider)

পিএলসি কিভাবে কাজ করে থাকে?

পিএলসি এক প্রকার মাইক্রোকন্ট্রোলার বেইজড কন্ট্রোল সিস্টেম। এতে একটি প্রোগ্রামএবল মেমোরি থাকে যা বিভিন্ন প্রকার ইনস্ট্রাকশন স্টোর করে থাকে। এর মাধ্যমে এরিথমেটিক(গাণিতিক)লজিক্যাল, সিকুয়েন্সিং, টাইমিং ইত্যাদি কার্যবলি সম্পাদন করা হয়।পিএলসি কাজ নির্ভর করে প্রথম ধাপ যে ইনপুট সিগন্যাল দেয়া হবে তা লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে প্রসেসিং হয়ে দ্বিতীয় ধাপে কাঙ্খিত আউটপুট সিগন্যাল পাওয়া যাবে। এর সাহায্যে অন্যান্য ডিভাইস সহজেই কন্ট্রোল করা যায়।

পিএলসি তিনটি প্রধান সেকশন রয়েছেঃ

.পাওয়ার সাপ্লাই

.ইনপুন\আউটপুট

.সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট

1.পাওয়ার সাপ্লাই:

পিএলসিকে একটিভ করার জন্য অবশ্যই একটি পাওয়ার লাগবে। পাওয়ার সাপ্লায়ের কাজ মূলত ইনপুট, সিপিইউ এবং আউটপুটকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। আর একটি কথা, এতে আর্থিং থাকতেই হবে। আর্থিং না করা থাকলে প্রোগ্রাম ঠিকমত রান নাও করতে পারে এমনকি ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিভিন্ন পিএলসির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পাওয়ার কম বেশি হতে পারে। যেমন অনেক পিএলসি আছে যাদের অপারেট করতে  ১১৫ ভোল্ট থেকে ২৪০ ভোল্ট এসি/ডিসি প্রয়োজন হয়। আবার অনেক পিএলসি রয়েছে শুধু ডিসি ২৪ ভোল্টে অপারেট করা যাবে

2.ইনপুট:

input plc

এখানে বিভিন্ন প্রকার ইনফরমেশন প্রদান করা হয়ে থাকে। ইনপুট ডিভাইসে প্রাপ্ত তথ্যকে লেডার  ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়।  ইনপুট সাধারণত বিভিন্ন প্রকার সুইচ, সেন্সর, তাপমাত্রা ইনফরমেশন, ভেরিয়েবল ভোল্টেজ ইত্যাদি ইনফরমেশন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটকে পাঠায়।

3.আউটপুট:

plc output

সেন্ট্রাল প্রসেসিং থেকে আগত তথ্যকে রিলে সুইচের মাধ্যমে মেশিনে পাঠানো হয়ে থাকে ও মেশিন সেই অনুযায়ী কাজ করে।মেশিনে সেন্সর সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে পুনরায় ইনপুটে তথ্য প্রদান করে থাকে এবং এইভাবে চক্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলতে থাকে।

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট:

plc cpu

 ইনপুট হতে আগত তথ্যগুলোকে লেডার ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়ে থাকে। এছাড়া ইনপুট ডিভাইসের প্রাপ্ত তথ্যর সাথে সিপিইউ ডায়াগ্রাম অনুযায়ী নিজস্ব কিছু তথ্য সংযোগ হতে পারে ।

 পি এল সি প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার:

প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন ব্র্যান্ডের পিএলসি ব্যবহার করবেন। এক একটা  ব্র্যান্ডের পিএলসির জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় ।এরপরেই সেই ব্র্যান্ড অনুযায়ী PLC  সফটওয়্যার পিসিতে ইনস্টল করে নিতে হবে।

পিএলসি সিপিইউ:

পি এল সি সিপিইউতে আপনি চাইলে এক্সটারনাল ইনপুট আউটপুট বাড়িয়ে নিতে পারেন। ধরেন আপনি ৩৬ টি ইনপুট এবং ২৪ টি আউটপুট ব্যবহার করতে পারছেন কিন্তু আপনার ইনপুট ও আউটপুট আরো বেশি লাগবে, সেক্ষেত্রে এক্সটারনাল মডিউল যোগ করে করতে পারেন এবং এটা খুবই সহজ।কিন্তু সব পিএলসির ক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছা করলেই ইনপুট ও আউটপুট এক্সটেনশন করতে পারবেন না। একমাত্র মডুলার পিএলসিতে এক্সটেনশন সম্ভব। অর্থাৎ একটি কম্পাক্ট পিএলসি এবং অপরটি মডুলার পিএলসি।

কমিউনিকেশন ক্যাবল: 

 

cableপিএলসির জন্য ভালো মানের ক্যাবল এবং কনভার্টার ব্যবহার করাই উত্তম। কারন বাজারে বিভিন্ন ক্যাবল পাওয়া যায় যা ঠিকমত কাজ করে না। একারনে পিএলসি কমিউনিকেশন ক্যাবল পিএলসি যে কোম্পানির সেই কোম্পানি থেকেই নেওয়া উচিত। যদিও ক্যাবলের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।

পিএলসি প্রোগ্রামিং ভাষা:

  1. Ladder Diagram (LD)
  2. Function Block Diagram (FBD)
  3. Instruction List (IL)
  4. Structural Text (ST)
  5. Sequential Function Chart (SFC)

আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা,আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন।এর পরও যদি কারো বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই সুস্থ থাকেন ভাল থাকেন।

ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে আমিনুল ইসলাম

খোদাহাফেজ।

Leave a Reply