infobatbd@gmail.com

ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে ১৫ টি জানা প্রশ্নের অজানা উত্তর

ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে ১৫ টি জানা প্রশ্নের অজানা উত্তর
27 Jul 2017

ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে ১৫ টি জানা প্রশ্নের অজানা উত্তর

//
Comments5

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? নিশ্চই ভাল। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে কিছু জানা প্রশ্নের অজানা উত্তর।

১। বিদ্যুৎ কি? কত প্রকার এবং কি কি?

উত্তরঃ বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি এবং রূপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন বাস্তব কাজ সমাধা করে।বিদ্যুৎ ২(দুই) প্রকার। (i) স্থির বিদ্যুৎ (ii) চল বিদ্যুৎ

২। কারেন্ট কি? কত প্রকার এবং কি কি?

উত্তরঃ পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ কোন নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। কারেন্টের প্রতীক I (আই) এবং একক Ampere (অ্যাম্পিয়ার), সংক্ষেপে ‘A’ লেখা হয়। কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম  (অ্যাম্পিয়ার মিটার)।কারেন্ট ২(দুই) প্রকার। (i) AC (এসি)(Alternative Current) কারেন্ট (ii) DC (ডিসি) কারেন্ট (Direct Current)

৩। অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন পরিবাহীর যে কোন অংশের মধ্য দিয়ে এক কুলাম্ব চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে। ১ কুলাম্ব = 628×1016 ইলেকট্রন চার্জ।

৪। ভোল্টেজ কি?ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ পরিবাহির পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যেবল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। ভোল্টজ এর প্রতীক V(ভি) এবং একক Volt ভোল্ট। ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter(ভোল্ট মিটার)।পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এর গুণফল হল ভোল্টেজ।অর্থাৎ V = IR [ভোল্টেজ = কারেন্ট X রেজিস্ট্যান্স]

৫। রেজিস্ট্যান্স কি?

উত্তরঃ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। রেজিস্ট্যান্স’এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm(ওহম)।

৬। Capacitance (ক্যাপাসিট্যান্স) কি? এর প্রতীক এবং একক কি?

উত্তরঃ ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্যে কোন বিভব পার্থক্য থাকলে প্লেটগুলো বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে (অর্থাৎ চার্জ ধরে রাখে)। ক্যাপাসিটরের এই ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে ক্যাপাসিট্যান্স(Capacitance) বলে। ক্যাপাসিট্যান্সএর প্রতীক C (সি) এবং এর এককF (Farad) বা µF (Micro Farad)। পরিমাপের যন্ত্র Ohm মিটার বা ক্যাপাসিট্যান্সমিটার।

৭। Inductance (ইন্ডাকট্যান্স)কি ? এর প্রতীক এবং একক কি?

উত্তরঃ এটি কয়েলের এমন একটি বিশেষ ধর্ম যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্টে-এর হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। ইন্ডাকট্যান্স’এর প্রতীক L এবং এর একক Henry।

৮। Conductor (কন্ডাকটর) বা পরিবাহী কি?

উত্তরঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট চলাচল করতে পারে তাদের Conductor বা পরিবাহী বলে। যেমনঃ সোনা, রূপা, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম।

৯। Insulator (ইন্সুলেটর) বা অপরিবাহী কি?

উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সরাসরি কারেন্ট চলাচল করতে পারেনা তাদের Insulator বা অপরিবাহী বলে। যেমনঃ প্লাষ্টিক, রাবার ইত্যাদি।

১০। Semi-Conductor (সেমি-কন্ডাকটর)বা অর্ধপরিবাহী কি?

উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বেশি নয় সামান্য পরিমানে বিদ্যুৎ চলাচল করে অর্থাৎ অবস্থা ভেদে কখনো বিদ্যুৎ চলাচল করে আবার চলাচল করেনা তাদের Semi–Conductor বা অর্ধপরিবাহী বলে। যেমনঃ জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।

১১। Power (পাওয়ার) বা ক্ষমতা কি?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের হারকে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power (পাওয়ার) বলে। সার্কিটের ভোল্টেজ ও এম্পিয়ার এর গুণফল হিসাবে Power (পাওয়ার) পাওয়া যায়। পাওয়ার-এর একক Watt (ওয়াট) বা Kilo Watt (কিলো ওয়াট)।অর্থাৎ P = VI [পাওয়ার = ভোল্টেজ X কারেন্ট]

১২। Energy (এনার্জি) বা শক্তি কি?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power কোন সার্কিটে যত সময় কাজ করে পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের গুণফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা Energy বলে। Energy-রএকক Watt-hour বা Kilowatt-hour।অর্থাৎ Energy, W=P×T [P = Power, T = Time]

১৩। বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক কি?

উত্তরঃ একাধিক সরল সার্কিট উপাদান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সার্কিট হয়তাকে বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলে।

১৪। বৈদ্যুতিক সার্কিট কি? বৈদ্যুতিক সার্কিট কত প্রকার এবং কি কি?

উত্তরঃ বিদ্যুৎ’এর উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, ব্যবহারযন্ত্র,রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে।সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে সার্কিট তিন প্রকার। যথাঃ(i) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt)(ii) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt)(iii) মিশ্র সার্কিট (Mixed Ckt)

১৫। বৈদ্যুতিক সার্কিটে কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকা আবশ্যক?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সার্কিটে নিচের পাঁচটি প্রয়োজনীয় উপাদান আবশ্যক। যথাঃ(i) উৎস (Source) যেমনঃ ব্যাটারী অথবা জেনারেটর।(ii) পরিবাহী (Conductor) যেমনঃ তামা অথবা এলুমিনিয়াম তার।(iii) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) যেমনঃ সুইচ।(iv) ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device) যেমনঃ বাতি, পাখা।(v) রক্ষন যন্ত্র (Productive device) যেমনঃ ফিউজ, ব্লেকার।

আজ এপর্যন্তই  , কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। খোদা হাফেয।

5 Responses

Leave a Reply