পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power factor)
“জীবেনর প্রয়োজনে, সময়ের সাথে
মাতৃ ভাষায় হোক ইঞ্জিনিয়ারিং চর্চা”
এই স্লোগানকে সামনে রেখে বরাবরের মত আজকে আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করব পাওয়ার ফ্যাক্টর নিয়ে। নমস্কার। আমি সুপ্ত রায় সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ অটোমেশন টেকনোলজিস। আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আশাকরি আজকের ব্লোগ থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন।তো সবাই চলুন মূল আলোচনায়……
আজকের বিষয় পাওয়ার ফ্যাক্টর।
পাওয়ার ফ্যাক্টর কিঃ
এ.সি. সার্কিটে কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের কোসাইন মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।পাওয়ার ফ্যাক্টরকে Cos∅ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। আর পাওয়ারের সূত্র হল, P=VIcos∅ : W (Single Phase) বা P=√3VIcos∅ :W (3-Phase) উপরক্ত সূত্র থেকে দেখাযায় Cos∅ এর উপর পাওয়ার নির্ভরশিল। তাই আমরা পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট করে আপাত পাওয়ার বা Apparent Power (VA) কে পরিবর্তন করতে পারিন ।
প্রকারভেদঃ
পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকার যথা-
- ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor)
- লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor)
- ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)
১।ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
এ.সি. সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে ইন্ডাকটিভ লোড বেশী হলে, কারেন্ট ভোল্টেজের পরে অবস্থান করে,অর্থাৎ কারেন্ট Lag করে (ইনডাকটিভ সার্কিট এর ভেক্টর ডায়াগ্রাম দেখলেও দেখা যায় কারেন্ট Lag করতেছে) সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এই সার্কিটকে ইন্ডাকটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
E L I
ই.এম.এফ.(E) ইন্ডাক্টর(L) কারেন্ট(I)
L তে ইন্ডাকটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ইন্ডাকটিভ সার্কিটে ভোল্টেজ আগে, কারেন্ট পরে।
২। লিডিংপাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোডের চেয়ে ক্যাপাসিটিভ লোড বেশী হলে, ভোল্টেজ কারেন্টের পরে অবস্থান করে, অর্থাৎ কারেন্ট লিড করে (কেপাসিটিভ সার্কিট এর ভেক্টর ডায়াগ্রাম দেখলেও দেখা যায় কারেন্ট Lead করতেছে) সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
I C E
কারেন্ট(I) ক্যাপাসিটর(C) ই.এম.এফ.(E)
C তে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে কারেন্ট আগে, ভোল্টেজ পরে।
ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোড ও ক্যাপাসিটিভ লোড সমান হলে, ভোল্টেজ ও কারেন্ট একসাথে অবস্থান করে, সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। অর্থাৎ এখানে কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর কোণের কোসাইন জিরো।
এই সার্কিটকে রেজিস্টিভ সার্কিট বলে। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর 1 হয়।
কোন কোন মেশিনের পাওয়ার ফ্যাক্টর কত?
লাইটিং লোডের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর ৯৫% হতে ১০০% হয়ে থাকে । কিন্ত মোটরের ক্ষেত্রে নিন্ম মানের পাওয়ার ফ্যাক্টর যেমন : ৫০% হতে ৯০% হয়ে থাকে । সিঙ্গেল ফেজ মোটরের পাওয়ার ফ্যাক্টর ৪০% হয়ে থাকে এবং ওয়েল্ডিং মেশিনের পাওয়ার ফ্যাক্টর ২০% হতে ৩০% পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
পাওয়ার ফ্যাক্টর কম হলে সিস্টেমে কি কি অসুবিধা হয়ঃ
পাওয়ার ফ্যাক্টর কম হলে প্রধান অসুবিধা হলো , লাইনের কারেন্ট উত্তরোত্তর হারে বৃদ্ধি পায়। ইলেকট্রিক মেশিনারীজ যেমন ; অল্টারনেটর ,ট্রান্সফরমার ,সুইচ গিয়ার এবং ক্যাবল ইত্যাদি নির্দিষ্ট মানের কারেন্ট বহনের ক্ষমতা থাকে । কিন্তু যদি পাওয়ার ফ্যাক্টর নিন্ম মানের হয় ,তাহলে কারেন্টের মান এর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মেশিনারীর কার্য দক্ষতা কমে যায় এবং ব্যাপক হারে ভোল্টেজ ড্রপ হয়ে যায় । উল্লেখিত মেশিনারীজ কার্য দক্ষতা সঠিকভাবে রাখতে হলে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা একান্ত প্রয়োজন।
পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্টঃ
পাওয়ার ফ্যাক্ট্রর ইমপ্রুভমেন্ট বলতে আমরা সহজে বুঝি কোন একটা সিস্টেমে Reactive পাওয়ার এর পরিমান কমিয়ে Active পাওয়ার এর পরিমান বাড়ানো।নিন্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট করা যায়-
- সিনক্রোনাস মোটর : উক্ত মেশিনের সাহায্যে ওভার এক্সাইটেড করে PF এর মান উন্নতি করা যায় ।
- ফেজ এ্যাডভান্স: ফেজ এ্যাডভান্স এর মাধ্যমে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা যায়।
- স্ট্যাটিক ক্যাপাসিটর : ক্যাপাসিটর এর মাধ্যমে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা যায় ।
- আমরা centrally ক্যাপাসিটর ব্যাঙ্ক ব্যবহার না করে প্রত্যেক লোডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করতে পারি
- যে সব লোড লো পাওয়ার ফ্যাক্টর এর জন্য দায়ী সে সব লোড এর ব্যবহার কমিয়ে ও পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রুভ করতে পারি।
- ফেজ অ্যাডভেনসার (Phase Advancer) ব্যবহার করে।
আশাকরি আজকের আলোচনা সবাই বুজতে পেরেছেন। তারপরও বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট বক্সতো আছেই। সবাই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
Sevelamer Propecia Venta Libre Where Can I Find Real Viagra buy generic cialis online Canada Meds 365 Priligy Dysfonction Erectile